পিরোজপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী নিহত

সৈয়দ রাসেল পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে স্নাতকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় সৈয়দ রাসেল (২৩) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে খুলনা নগরীর সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সৈয়দ রাসেল পিরোজপুর পৌরসভার মুক্তারকাঠি মহল্লার সৈয়দ ইদ্রিসের ছেলে। তিনি পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত কলেজছাত্রের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামের সামনে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর মধ্যে মারামারি হয়। এতে সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের রিয়াজুল সরদার নামের এক তরুণের মাথা ফেটে যায়। ওই ঘটনায় সৈয়দ রাসেলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন রিয়াজুল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সৈয়দ রাসেল সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামে বন্ধুদের নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম বায়েজিদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে যান। বেলা একটার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে রিয়াজুল সরদার লোকজন নিয়ে সৈয়দ রাসেলের ওপর হামলা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে খুলনা নগরীর সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আজ দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাসেলের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

আজ দুপুরে সৈয়দ রাসেল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পিরোজপুর শহরে মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। সৈয়দ রাসেলের প্রতিবেশী শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রিয়াজুল সরদারের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি রাসেলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। গতকাল দুপুরে রাসেল এক বন্ধুর মোটরসাইকেলে কদমতলা থেকে পিরোজপুর ফেরার পথে কয়েকজন ব্যক্তি রাসেলের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
রিয়াজুল সিকদার ও সৈয়দ রাসেল দুজনেই উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম বায়েজিদ হোসেনের অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে। বায়েজিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সৈয়দ রাসেল আমার সঙ্গে দেখা করে পিরোজপুর যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। রাসেল আমার কর্মী ছিলেন।’

সৈয়দ রাসেলের মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে রাসেলের বাবা সৈয়দ ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। একমাত্র ছেলে রাসেলের মৃত্যুর কষ্ট আমি বলে বোঝাতে পারব না।’

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, সৈয়দ রাসেলের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।