নরসিংদী স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে হাত–পা কাটা পড়ল যুবকের

ট্রেন দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতির আগে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে যুবকের দুই পা ও এক হাত কাটা পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে স্টেশনটির ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ওই যুবককে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ওই যুবকের নাম বেলায়েত হোসেন (৩০)। তিনি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের সোনাকুড়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত ছানাউল্লাহর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলায়েত হোসেন গাজীপুরের একটি মাটি পরিবহনের প্রতিষ্ঠানের একজন গাড়িচালক। কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে গতকাল রাতে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টার পর টঙ্গী রেলস্টেশন থেকে নরসিংদীর উদ্দেশে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে বসেন তিনি। ১১টার দিকে ট্রেনটি নরসিংদী রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। যাত্রাবিরতি দেওয়ার ঠিক আগে চলন্ত অবস্থাতেই তিনি ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে লাফ দেন। তবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের ফাঁকে পড়ে যান তিনি। ওই সময় ট্রেনের চাকায় বাঁ হাতের কবজি এবং দুই পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্রেনটি থামার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে ট্রেনের নিচ থেকে টেনে বের করে আনেন। পরে তাঁকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেলায়েত নামের ওই যুবককে দুই পা ও বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক ছিল। রক্তক্ষরণ বন্ধ করে আমরা তাঁকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বেলায়েতের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থাকা নাছির মিয়া নামের একজন স্বজন বলেন, ‘বেলায়েত চাচা এখনো অচেতন অবস্থায় আছেন। তাঁকে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’

এ বিষয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজিউর রহমান জানান, ‘ট্রেন থামার আগেই নোয়াখালী এক্সপ্রেস থেকে নামতে গিয়ে ওই যুবক দুই পা ও এক হাত হারিয়েছেন। দিবাগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে পাইনি। তাঁর স্বজনদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি।’