মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ে ও ভাতিজির মৃত্যু
মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ে ও ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন মেয়ের স্বামী। আজ রোববার সকালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নে অমেরা গ্যাসপাম্পের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন নূপুর আক্তার (২২) ও তাঁর চাচাতো বোন রুনা আক্তার। তাঁরা দুজন গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত নূপুর আক্তারের স্বামী রাকিবুল ইসলাম। নিহত দুই বোনের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ গিদারী গ্রামে। নিহত রুনার বাবার নাম আবদুর রশিদ।
আহত রাকিবুল ইসলাম বলেন, তাঁর শাশুড়ির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে গাজীপুর থেকে তাঁরা মোটরসাইকেলে বাড়ির পথে রওনা হন। মোটরসাইকেলটি তিনি চালাচ্ছিলেন। পেছনে আরোহী ছিলেন নূপুর ও রুনা। তাঁরা শেরপুরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনা শিকার হন।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে মায়ের মৃত্যুর খবর পান নূপুর আক্তার। খবর পেয়ে রাকিবুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী নূপুর ও চাচাতো শ্যালিকা রুনাকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ির পথে রওনা হন। আজ সকাল আটটার দিকে শেরপুরের অমেরা গ্যাসপাম্পের সামনে গেলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা সড়কের ওপর পড়ে যান। এ সময় পেছন থেকে আসা অজ্ঞাতনামা একটি ট্রাক তাঁদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নূপুর ও রুনা মারা যান। গুরুতর আহত হয়েছেন রাকিবুল।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর নিহত দুজন ও আহত একজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশ দুটি পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ দুটি হস্তান্তর করা হবে। যে ট্রাকের চাপায় এ ঘটনা ঘটেছে, সেই ট্রাক ও চালককে শনাক্ত করার কাজ চলছে।