নওগাঁয় নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

নওগাঁর আত্রাই নদের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। আত্রাই উপজেলার জাত আমরুল গ্রামে শুক্রবার তোলা ছবি
ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর দুই দিন ধরে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় কমতে শুরু করেছে নওগাঁর আত্রাই নদ ও ছোট যমুনার পানি।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে জেলার রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার ছোট যমুনা ও আত্রাই নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েক স্থানে ভাঙনের ফলে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে যায় পুকুরের মাছ, তলিয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ আমন ফসল।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার আত্রাই নদ ও ছোট যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সব কটি পয়েন্টে পানি কমেছে। শনিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বর্তমানে আত্রাই নদের পানি শিমুলতলী পয়েন্টে ১৭ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটার, জোতবাজার পয়েন্টে ১৪ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার ও রেলস্টেশন পয়েন্টে ১২ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন, নদ–নদীর পাশাপাশি গ্রামগুলোর মাঠের পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, ভারী বৃষ্টি না হলে দু–এক দিনের মধ্যে অবস্থা স্বাভাবিক হবে।

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার আত্রাই উপজেলার কাশিয়াবাড়ি-কালীগঞ্জ সড়কের বলরামচকে, আত্রাই-সিংড়া সড়কের জগদাস এলাকায় ও শিকারপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। এ কারণে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টির প্রায় ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

আত্রাই পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) তাহসিন ইলিয়াস বলেন, আত্রাই নদের পানির প্রবল তোড়ে বাঁধ ভাঙার স্থানগুলোর কাছে ছয়টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। পাঁচটি খুঁটি উপড়ে গেছে। একইভাবে রানীনগর উপজেলার মিরাট, কাশিমপুর, গোনা ও সদর ইউনিয়নের অনেক গ্রাম এখনো পানিতে প্লাবিত।