স্কুলছাত্র জয়ন্ত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্কুলছাত্র জয়ন্ত হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি শাহীনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মঙ্গলখালী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১১–এর গলমাধ্যম কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া শাহীন রূপগঞ্জের মঙ্গলকালী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া প্রথম আলোকে জানান, আজ ভোরে উপজেলার মঙ্গলকালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জয়ন্ত হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া প্রধান আসামি শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায় যে ২০১৮ সালের ৫ জুন রূপগঞ্জের বানিয়াদি এলাকার চৈতন্য চন্দ্র দাসের ছেলে ১০ বছরের শিশু জয়ন্তকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন আসামিরা। সে স্থানীয় শিশু মেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০১৮ সালের ৬ জুন মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে জয়ন্তকে শ্বাসরোধে হত্যা করে অপহরণকারীরা। একই দিন উপজেলার বানিয়াদি এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় নিহত জয়ন্তের বাবা চৈতন্য বাদী হয়ে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে স্থানীয় শাহীন, আলমগীর, অনিক চন্দ্র দাস, আশিক চন্দ্র ও মো. সুমনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই পাাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে সুমন বিচারকাজ চলাকালে মারা যান।
৫ মার্চ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা স্কুলছাত্র হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক ওই স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
স্কুলছাত্র জয়ন্ত হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকালে আদালতে শুধু অনিক চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন। অপর তিন আসামি শাহীন, আলমগীর ও আশিক চন্দ্র দাস (৩০) পলাতক ছিলেন। পরে র্যাব-১১ গোয়েন্দা দল সাজা পাওয়া ওই তিন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে নামে। তারা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জয়ন্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিনকে আজ ভোরে রূপগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।