অভয়নগরে শর্ষেখেতে পড়ে থাকা লাশটি দুই মামলার আসামি ফরিদ গাজীর

গলাকেটে হত্যা
প্রতীকী ছবি

যশোরের অভয়নগর উপজেলা থেকে গতকাল রোববার বিকেলে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তখন নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আজ সোমবার সকালে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। লাশটি ফরিদ গাজীর (২৪)। তাঁর নামে থানায় দুটি মামলা রয়েছে।

উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দেয়াপাড়া গ্রামের ভৈরব নদের পাড়ে একটি শর্ষেখেত থেকে পুলিশ ফরিদ গাজীর লাশটি উদ্ধার করে। তিনি খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালি ইউনিয়নের অর্জুনপুর গ্রামের আফিল উদ্দিন গাজীর ছেলে। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে আরাফাত মসজিদের পাশে রেলবস্তিতে মাকে নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদের ঘাটে শ্রমিকের কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, ফরিদ গাজীর নামে অভয়নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং চুরির দুটি মামলা আছে। তবে তাঁর হত্যার কারণ জানতে পারেনি পুলিশ।

এলাকাবাসীর কয়েকজন বলেন, গতকাল দুপুরে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দেয়াপাড়া গ্রামের ভৈরব নদের পাড়ে ভৈরব সেতুর দক্ষিণ পাশে একটি শর্ষেখেতের মধ্যে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পড়ে ছিল। তাঁর পরনে কালো রঙের জিনসের প্যান্ট এবং কালো রঙের হুডি ছিল। তাঁর ডান হাতে একটি ধাতবের ব্রেসলেট এবং ডান হাতের তর্জনীতে একটি ধাতবের আংটি ছিল। লাশের পাশে একটি লাল রঙের মাস্ক পড়ে ছিল। বেলা দুইটার দিকে গ্রামের এক ব্যক্তি নদের তীরে গরু চরাতে গিয়ে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজনকে জানান। এরপর তাঁরা বিষয়টি পুলিশে জানান। খবর পেয়ে বিকেলে চারটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তখন তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।

অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল বলেন, ফরিদ গাজীর নামে অভয়নগর থানায় ধর্ষণে সহায়তা এবং চুরির অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাঁর হত্যার কারণ জানতে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।