পড়াতে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
নরসিংদীতে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল হামিদ খান (৩৮) নামের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচরের গেটবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আবদুল হামিদ খান নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়াপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ খানের ছেলে। নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন তিনি।
নিহত ব্যক্তির স্বজন ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে নাশতা শেষে বাদুয়ারচর এলাকার একটি বাসায় পড়াতে যাচ্ছিলেন হামিদ খান। আটটার দিকে হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর গ্রামের গেটবাজার এলাকায় অসতর্কভাবে রেললাইন ধরে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রেনেই তাঁর মাথা কাটা পড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানান। সকাল ১০টার দিকে রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবদুল হামিদের লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা এসে লাশ শনাক্ত করেন।
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল হামিদ খান নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ নেই মর্মে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর চাইছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।