নাসিরনগরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় শিক্ষার্থীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাঁকে হবিগঞ্জের উপজেলা লাখাই উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. শিহাব উদ্দিন (৩০)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বাসিন্দা। গত শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা নাসিরনগর থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শিহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে প্রেমের নিবেদনসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক সপ্তাহ আগে কৌশলে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়ে ধর্ষণ করেন শিহাব। তখন বিষয়টি কাউকে না জানাতে ছাত্রীকে নানা রকম হুমকি দেন শিহাব। এরপর শুক্রবার আবারও ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে শিহাব মাদ্রাসা থেকে তাঁর বাড়িতে চলে যান।

এদিকে পরিবারের লোকজন অসুস্থতার কথা জানতে পেরে ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। হাসপাতালে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে ওই ছাত্রী মায়ের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। সব শুনে ওই শিক্ষার্থীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুক্রবার রাতে নাসিরনগর থানায় শিক্ষক শিহাবকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেন। শনিবার অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জের উপজেলা লাখাই এলাকা থেকে পুলিশ মাদ্রাসাশিক্ষক শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহাগ রানা বলেন, ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা পুলিশের স্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। শনিবার বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।