গোয়ালন্দে নৌকার নির্বাচনী প্রচারে ‘হাঁটা পার্টি’

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের নেমেছেন ‘হাঁটা পার্টি’র সদস্যরা।ছবি: প্রথম আলো

সংগঠনটির নাম সকালের গোয়ালন্দ। স্থানীয়ভাবে সংগঠনটি ‘হাঁটা পার্টি’ নামে পরিচিত। শরীর সুস্থ রাখার প্রত্যয় নিয়ে প্রায় ২০ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকজন নিয়ে গড়ে তোলা হয় অরাজনৈতিক এই সংগঠন। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাংবাদিকেরা এ সংগঠনের সদস্য।

প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর গোয়ালন্দ শহরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমায়েত হয়ে সংগঠনের সদস্যরা হাঁটাহাঁটি করেন। চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার পথ হাঁটেন তাঁরা। একেক দিন একেক এলাকায় ঘুরে ঘুরে এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁদের ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সংগঠনের সদস্যসংখ্যা ৪৫। বেশির ভাগ সদস্যের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। যাঁদের অনেকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি তাঁরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু সামাজিক কার্যক্রমও করে থাকেন, যেমন বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে গাছ লাগানো, অসহায় মানুষের পাশে সাধ্যমতো দাঁড়ানো ও শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ করা।

হাঁটা পার্টির সদস্যরা এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ (রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে সমর্থন জানিয়ে কাজ করছেন। প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ শেষে দল বেঁধে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি তাঁরা নৌকা প্রতীকের পক্ষে মানুষের কাছে ভোট চাইছেন।

গোয়ালন্দ বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি ও সকালের গোয়ালন্দ-এর সহসভাপতি মো. ছিদ্দিক মিয়া বলেন, সকালের গোয়ালন্দ নামে সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে প্রায় পাঁচ বছর আগে। এর আগে প্রায় ১৫ বছর সংগঠনটি হাঁটা পার্টি হিসেবে পরিচিত ছিল। বরাবরের মতো প্রতিদিন ভোরে দলবদ্ধ হয়ে সবাই হাঁটাহাঁটি করছেন। তবে নির্বাচনের কারণে অধিকাংশ সদস্যের কাজী কেরামত আলী পছন্দের প্রার্থী হওয়ায় হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণাও চালাচ্ছেন। এতে নিজেদের কাছে যেমন ভালো লাগছে; আবার ভোটারদের কাছ থেকেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।

গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সকালের গোয়ালন্দের উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, কাজী কেরামত আলী একজন অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র ও ভালো মানুষ। তিনি সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর খুব আস্থাভাজন। এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাঁকে আবারও নির্বাচিত করা খুব প্রয়োজন। যে কারণে গোয়ালন্দের অধিকাংশ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা তাঁর পক্ষে প্রচার ও প্রচারণায় নেমেছেন। সকালের গোয়ালন্দের পাশাপাশি সুপ্রভাত গোয়ালন্দ নামের একটি সংগঠনের হয়েও তাঁরা ভোরে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁরা আশাবাদী নৌকা প্রতীক নিয়ে কাজী কেরামত আলী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।