সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনায় আরও এক নারী যাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পট্রাককে পেছন থেকে মাইক্রোবাসের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় গুরুতর আহত আরও এক নারী যাত্রী মারা গেছেন।
এই নিয়ে এ দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো। আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম (৬০)। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন (৬২) নামের এক বৃদ্ধ। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। নিহত রহিমা বেগম সম্পর্কে আনোয়ার হোসেনের শ্যালিকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ওই নারীকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে আজ সোমবার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পট্রাকের পেছনে কক্সবাজারগামী একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে চারজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন মাইক্রোবাসের যাত্রী মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা কাজী রিয়াদ (৩৪) ও অন্যজন মাইক্রোবাসের চালক। চালকের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পর সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা হতাহত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, আনোয়ার হোসেন তাঁর পরিবারের সদস্য, স্বজনসহ সাত থেকে আটজনকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। ঢাকার নাজিরাবাজার থেকে তাঁরা ভাড়া করা মাইক্রোবাসটিতে ওঠেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাটে দুর্ঘটনা ঘটলে মাইক্রোবাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় আনোয়ারের।
ওসি আবদুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা লাশ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তরের জন্য আবেদন করেছেন। যেহেতু কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই ভুক্তভোগীদের। সুতরাং বিষয়টি সাধারণ ডায়েরি মূলে মীমাংসা করা হবে। এরপর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি এবং আটক করা ডাম্পট্রাকও মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।