নোয়াখালীতে পুলিশের ‘বিশেষ অভিযানে’ বিএনপির ১২ নেতা–কর্মীসহ গ্রেপ্তার ৩৫

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১২ জন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বাকিরা বিভিন্ন মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। গতকাল রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৯টি থানার সব কটিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টার বিশেষ এই অভিযানে মোট ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হলেন—সদর উপজেলার ১ নম্বর চর মটুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. চান মিয়া (৪৩), সুবর্ণচর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম (৪২), সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির কর্মী সালমান মুহাম্মদ আহসান ভূঁইয়া (৪৬), আবদুল মোতালেব (৪৫), নুর নবী (৩৪), বেগমগঞ্জের বিএনপির সমর্থক আবদুর রশিদ (৪৪), আবদুর রহমান (৩২), নুর নবী চৌধুরী (৪৮), ইসমাইল হোসেন ওরফে রতন (৫৭), তোফায়েল আহমেদ (৬৬), মো. সুফল (৩৫), জসিম উদ্দিন (৫৭)।

পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরের দিকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চলমান প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে ক্ষমতাসীন দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নতুন নতুন মামলা দিয়ে এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বাস্তবে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পূর্বের কোনো মামলা নেই, থাকলেও ওই মামলায় তাঁরা জামিনে রয়েছেন।

হঠাৎ বিশেষ অভিযানের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ বিশেষ অভিযান নয়, প্রতিমাসের শেষের দিকে সব সময় জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই অভিযানে বিভিন্ন নিয়মিত মামলার আসামি ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধারাবাহিকভাবে চলে আসা ওই অভিযানেই বিএনপির ১২ জনসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগটি সঠিক নয়।