ব্যাংক থেকে অভিনব কৌশলে গ্রাহকের টাকা নিলেন প্রতারকেরা

মুন্সিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মুন্সিগঞ্জে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন শেষে গুনতে গিয়ে অভিনব প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক নারী গ্রাহক। এ সময় তাঁর ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন প্রতারকেরা। শহরের কাছারিঘাট এলাকায় উত্তরা ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ শাখায় আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম পারভীন আক্তার (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়ার রাজারচর এলাকার সাহেব আলী ব্যাপারীর স্ত্রী।

পারভীন আক্তার বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে শহরের কাছারিঘাট এলাকায় উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, মুন্সিগঞ্জ শাখায় টাকা উত্তোলন করতে যাই। ব্যাংক থেকে ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করি। টাকা উত্তোলন শেষে আমি ব্যাংকের সোফায় বসে টাকা গুনছিলাম। সে সময় অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন ব্যক্তি আমার দুই পাশে এসে বসেন। তাঁদের মধ্যে থেকে একজন আমার হাতে থাকা ৫০০ টাকার বান্ডিল দেখে বলেন, তিনি ব্যাংকে ১ লাখ টাকা জমা দেবেন, তাঁর কাছে ১ হাজার টাকার নোট আছে। তিনি ১ হাজার টাকার নোটগুলো নিতে বলেন এবং তাঁকে ৫০০ টাকার নোটগুলো দিতে বলেন। আমি সরল বিশ্বাসে ওই ব্যক্তির হাতে আমার ৫০০ টাকার বান্ডিলের মোট ৯০ হাজার টাকা দিই। পরে তিনি আমাকে রাবারে বেঁধে হাত মুঠো করে ১ হাজার টাকার কতগুলো নোট দেন। আমাকে টাকা দেওয়ার পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার কথা বলে সোফা থেকে উঠে যান। তাঁদের বান্ডিল খুলে আমি গুনে দেখি এতে ১ হাজার টাকার ২০টি নোট ও ১০০ টাকার ৫০টি নোটসহ মোট ২৫ হাজার টাকা আছে। তাঁদের খুঁজতে গিয়ে দেখি তাঁরা ব্যাংক থেকে চলে গেছেন। পরে আমি বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

উত্তরা ব্যাংক মুন্সিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক হানিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা গ্রাহকের অভিযোগ পেয়ে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। আমরা তিনজনকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত করেছি। পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিলে আমরা তাঁদের সহযোগিতা করব।’

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।