গলাচিপায় চোর সন্দেহে গণপিটুনি, একজনের মৃত্যু

গণপিটুনি
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর গলাচিপায় চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়ার পর লিটন খন্দকার (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের তুলারাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত লিটন খন্দকারের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নূরাবাদ ইউনিয়নের আহাম্মদপুর গ্রামে। পুলিশ বলছে, লিটন খন্দকার একজন পেশাদার চোর।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লিটন খন্দকার আরও তিন-চারজনকে নিয়ে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইঞ্জিনের নৌকায় পানপট্টি ইউনিয়নের তুলারাম গ্রামে আসেন। এরপর তাঁরা কৌশলে নজরুল গাজীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। গভীর রাতে বাড়িতে চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে গৃহকর্তা নজরুল গাজীর ছেলে ইউসুফ গাজী (১৫) ঘর থেকে বের হয়ে লিটনকে ধরে ফেলে। এ সময় লিটনের হামলায় ইউসুফ আহত হয়।

পরে ইউসুফ ডাকচিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে লিটনকে ধরে গণপিটুনি দেন। এ সময় লিটনের সঙ্গীরা নৌকায় পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লিটন খন্দকারকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মারা যান।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, নিহত লিটনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি একজন পেশাদার চোর। এ ঘটনায় গৃহকর্তা নজরুল গাজীর স্ত্রী আকিনুর বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার গলাচিপা থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।