বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ শিশু তাজিম

নিখোঁজ শিশু তাজিম আহম্মেদ
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় তাজিম আহম্মেদ ওরফে আবু বকর (১০) নামে এক শিশুশিক্ষার্থী পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। ১৬ জানুয়ারি সকালে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। এ ঘটনায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কাটাচ্ছে পরিবার। আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

নিখোঁজ শিশু তাজিম উপজেলার পয়সা গ্রামের ব্যবসায়ী ফায়েকউজ্জামান ঘরামী ও মীম বেগম দম্পতির ছেলে। সে সরকারি পয়সা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

তাজিমের মা মীম বেগম বলেন, ১৬ জানুয়ারি সকালে তাজিমকে নাশতা খেতে দিয়ে তিনি সংসারের অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সে নাশতা খাওয়ার পর স্কুলব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশে যায়। বেলা তিনটায় স্কুল ছুটির পরও বাড়িতে ফিরে না আসায় তিনি তাজিমের বাবাকে ফোন করে জানান। বিকেল গড়িয়ে গেলেও তাজিম বাড়ি ফিরে না আসায় তাজিমের বাবা ফায়েকউজ্জামান সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করান। পরে তাজিমের বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম কুমার বাড়ৈসহ অন্যরা তাজিমকে খুঁজতে পশ্চিম বাগধা গ্রামে তাজিমের নানা দেলোয়ার মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানেও তার সন্ধান মেলেনি। ওই দিন রাতে ফায়েকউজ্জামান আগৈলঝাড়া থানায় জিডি করেন। এরপর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন শিশুটির বিদ্যালয় ও বাড়ি পরিদর্শন করেন।

সরকারি পয়সা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তম কুমার বাড়ৈ বলেন, তাজিম নিখোঁজ হওয়ার দিন ক্লাস শুরুর আগে বিদ্যালয় মাঠে তাকে দেখা গেছে। তবে সে ক্লাস করেনি, হাজিরা খাতায়ও উপস্থিতি নেই।

তাজিমের বাবা ফায়েকউজ্জামান বলেন, ‘পাঁচ দিনেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সবাই পাগলপ্রায়। জানি না ছেলেটা কোথায় আছে, কেমন আছে। আমরা ওকে ফিরে পেতে চাই। ওর জন্য গভীর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি।’

আগৈলঝাড়া থানার এসআই আল মামুন বলেন, ‘সরেজমিনে নিখোঁজ তাজিমের পরিবার, স্কুলের শিক্ষক, নানা দেলোয়ার মিয়া ও এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’