বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ এবং আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়।
তবে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস–সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। রাত নয়টায় রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল জব্বার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের সামনে দিয়ে আবাসিক এলাকায় যায় এবং সেখান থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসে। মিছিল শেষে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা শহীদুল হক ও প্রক্টর আবদুল আলীম। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা দাবি আদায়ে কঠোর অবস্থান নেন। পরে বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনীতি, সভা-সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি পুনরায় প্রকাশ করা হয়।