চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসা কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই কর্মকর্তার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা (স্যাকমো) হিসেবে কর্মরত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পুলিশ ও যুবদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর করেন ইক্তার রহমান। খবর পেয়ে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেন। হামলায় আহত মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পরদিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মকবুল হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের দাবি, ইক্তার রহমান স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত আপস-মীমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। তবে জেলার সিভিল সার্জন হাদী মো. জিয়াউদ্দিনের হস্তক্ষেপে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে অভিযুক্ত ইক্তার হোসেনকে আসামি করে আজ দুপুরে জীবননগর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে হাসপাতাল (স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) চত্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইক্তার পথ রোধ করে দাঁড়ান এবং জাহাঙ্গীরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করে সেখানে ফেলে যাওয়া হয়। তবে কী কারণে তাঁর ওপর এ হামলা হয়েছে, তা জানাতে পারেননি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন মিয়া জানান, মামলা আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।