দেশে দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে কমিয়ে ২১-এ এনেছে সরকার: স্পিকার শিরীন শারমিন

আজ শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ২০০৯ থেকে বর্তমান সরকার একটানা ক্ষমতায় আছে। এর মধ্যে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশে আনা সম্ভব হয়েছে। হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে যাঁরা বাস করছেন, তাঁদের নানা ধরনের ভাতা দিচ্ছে সরকার। আগামীতে মাতৃত্বকালীন, বিধবা, নারী, প্রতিবন্ধী, শিক্ষা ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা বাড়ানো হবে। তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচন অব্যাহত থাকবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। জেলা শহরের আসমত আলী খান স্টেডিয়ামে মাদারীপুর উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না জানিয়ে শিরীন শারমিন বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামগ্রিক পরিকল্পনার ভেতরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, ছিন্নমূল মানুষ, নারী ও শিশু অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশংসা করে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দেশের কৃষক মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। যে উন্নয়নের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেটা হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। দেশের ব্যাংকিং সেবার ভেতরে কীভাবে কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেই লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বেশি নারী। নারীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার ব্যাপক কার্যক্রম করছে। তাঁদের দক্ষতার উন্নয়ন, ক্ষুদ্র-মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনা, নারীদের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারসহ নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের এগিয়ে আনছে সরকার।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নুর-ই আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম, জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে প্রমুখ।