গাজীপুরে গাড়ির আঘাতে ডাকাত দলের একজন নিহত, গ্রেপ্তার ৪

মাদক, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধে সক্রিয় অপরাধী চক্র
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতির সময় গাড়ির আঘাতে ডাকাত দলের একজন সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার সাতখামাইর-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সাতখামাইর বাজারসংলগ্ন মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত ডাকাত সদস্যের নাম আরিফ হোসেন (২২)। তিনি কুমিল্লার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। রাত দুইটার দিকে তাঁকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে নিহত অটোরিকশাচালকের নাম আবুল কালাম (২৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথেই আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিনি সঙ্গীদের নিয়ে স মিলের কাঠের ভুসি কিনতে এমসি বাজার থেকে বরমী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে সাতখামাইর মাজার এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের ছয়-সাতজন তাঁদের গাড়ি থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে নেন। এ সময় আরও কয়েকটি গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করছিল ডাকাত দলটি। একপর্যায়ে ডাকাতদের আঘাতে অটোরিকশাচালক আবুল কালাম গুরুতর আহত হন। একই সময় ডাকাত দলের সদস্য আরিফ হোসেনও আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় চার ডাকাতকে আটক করা হয়।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাতে আহত অবস্থায় আরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন কুমার মালাকার বলেন, আহত অপর ব্যক্তি আবুল কালামকে অন্য হাসপাতালে নিতে বলা হয়েছিল। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, ছয়-সাতটি গাড়িতে ডাকাতি করা হচ্ছিল। কোনো এক গাড়ির আঘাতে ডাকাত সদস্যদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।