মাদারীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী সদস্যকে মারধরের অভিযোগ

মাদারীপুর জেলার মানচিত্র

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম ওরফে ভাসাই শিকদার ও তাঁর তিন অনুসারীর বিরুদ্ধে ওই ইউপির সংরক্ষিত এক নারী সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় আজ সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমীন ইয়াছমীনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মিনু খানম। তিনি ডাসার ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য, ডাসার ইউনিয়ন মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মহিলা লীগের সদস্য।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুটি মৃত্যুসনদে সই নিতে আসেন মিনু খানম। তাঁদের মধ্যে একজনকে আমি চিনি। তাঁরটায় সই দিয়েছি। আরেকজনকে না চেনায় ওই সনদে সই দিই নাই। এ জন্য ওই নারী ইউপি সদস্য আমার মা-বাবা তুলে কথা বলেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করি নাই।’

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে মিনু খানম তাঁর এলাকার এক ব্যক্তির মৃত্যুসনদে চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সই আনতে কমলাপুর বাজারে যান। এ সময় রেজাউল করিম ওই সনদে স্বাক্ষর না দিয়ে তাঁকে প্রকাশ্যে গালাগাল করেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা তাঁর তিন অনুসারী মিনু খানমকে মারধর করেন। পরে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে মিনু খানম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের কাছে সই আনতে গেলে তিনি বলেন, “সামনে থেকে সর, নয়তো তোর ঠ্যাং ভেঙে দেব।” এরপর তাঁর লোকজন আমাকে মারধর শুরু করেন। আমি মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করেন। চেয়ারম্যান আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাকে সহ্য করতে পারেন না। মাঝেমধ্যে আজেবাজে কথা বলেন।’

মিনু খানম আরও বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি। এ জন্য এর আগে একবার তিনি আমাকে লাঞ্ছিত করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেন। আমার বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনে আমি তাঁর হয়ে ভোট চাইনি। এ কারণে তিনি আমাকে শুরু থেকে অপমান–লাঞ্ছনা করে যাচ্ছেন। আজকের ঘটনার পর ইউএনও স্যারের কাছে যাই। তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে ইউএনও শারমীন ইয়াছমীন প্রথম আলোকে বলেন, ডাসার ইউপির এক নারী সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারধরের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।