গ্রেপ্তার ইমরান হোসেনের বাড়ি সিংড়া ইউনিয়নের হায়দারনগর হাটপাড়া গ্রামে। প্রতারিত সাজ্জাদুল ইসলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন কৃষক।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ইসলাম ও আবদুল হালিম (২৫) দুই বন্ধু। আবদুল হালিমের পূর্ব পরিচিত হোমিও চিকিৎসক ও কথিত জিনের বাদশা ইমরান হোসেন। আবদুল হালিমের মাধ্যমে গোপন রোগের চিকিৎসার জন্য গত বছরের জুন মাসে ইমরানের কাছে যান সাজ্জাদুল। ইমরান তাঁকে কবিরাজি চিকিৎসা দেন। পাঁচ মাস পরেও রোগের উন্নতি না হওয়ায় আবারও তাঁর কাছে যান সাজ্জাদুল। সাজ্জাদুলের শরীরে জিনের আঁচড় আছে বলে জানিয়ে দেন ইমরান। শরীর থেকে জিনের আঁচড় ছাড়িয়ে বাড়ির মাটির নিচে কলসি ভর্তি জিনের ধনসম্পদ উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন ইমরান। আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। শেষ পর্যন্ত প্রতারণার মামলায় ইমরান গ্রেপ্তার হলেন।

ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতারক ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেছি। আমি এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির প্রথম আলোকে বলেন, আসামি ইমরান হোসেনকে শনিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হবে।