হাতীবান্ধায় স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নিল পৌনে ৬ কেজি ওজনের নবজাতক

হাতীবান্ধায় জন্ম নেওয়া নবজাতক। বৃহস্পতিবার উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে
ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্বাভাবিক প্রসবে ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের এক নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ওই প্রসূতির নাম মারুফা বেগম (৩৮)। তিনি উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী। বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ আছে।

চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির ওজন প্রায় পৌনে ছয় কেজি, যা গড় ওজনের চেয়ে প্রায় দুই কেজি বেশি। শিশুটির উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এত বেশি ওজনের বাচ্চা উপজেলায় আগে কখনো জন্ম নিতে দেখেননি তাঁরা।

নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার এ নিয়ে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে হলো। এর আগে স্ত্রীকে বিভিন্ন জায়গার চিকিৎসকেরা বলেছেন, বাচ্চার ওজন বেশি, আপনারা ঝুঁকি নেবেন না। তারপরও আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে বড়খাতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গতকাল রাতে আমার স্ত্রী স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে একটি মেয়ের জন্ম দেন।’ রংপুরের একজন প্রসূতি চিকিৎসকের কাছে নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন বলে তিনি জানান।

বড়খাতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সিএসবি শাহানা খাতুন বলেন, গত রাতে তাঁদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক মা ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি মেয়েশিশুর জন্ম দিয়েছেন। সাধারণত মেয়ে নবজাতকের ওজন হয় আড়াই থেকে সাড়ে তিন কেজি। শিশুর মা–বাবার ডায়াবেটিস থাকলে নবজাতকের ওজন এর চেয়ে বেশি হতে পারে।

স্বাস্থ্য সহকারী ধীমান রায় বলেন, অস্বাভাবিক ওজন নিয়ে এই প্রথম স্বাভাবিক প্রসবে এক শিশুর জন্ম হলো। ওজন বেশি হওয়ায় নবজাতকটিকে একজন শিশুবিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো খুবই প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, এক গর্ভবতী মা বেশি ওজনের একটি নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন। মা ও শিশু সুস্থ আছে বলে জেনেছেন। তিনি বলেন, এখন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গত মাসে বড়খাতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবে ২৮টি নবজাতকের জন্ম হয়।