কুমারখালীতে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় হত্যা মামলার এক আসামিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাঁর নাম সেলিম হোসেন (৪০)।

নিহত সেলিম উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। তিনি একই এলাকার হুমায়ন মণ্ডল (৪৪) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভাটাশ্রমিকের কাজ করা সেলিম হোসেন আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ইটভাটায় যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের সাইদুল ইসলাম (৩৫), আসলাম হোসেন (৪০), রাজু আহমেদসহ (২৫) বেশ কয়েক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেলিমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে তাঁর চিৎকারে তাঁরা পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন সেলিমকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই সেলিম মারা গেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ মে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে চরপাড়া জামে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ আদায় করে বাড়িতে ফেরার সময় হুমায়ন মণ্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন ৭ মে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার আসামি ছিলেন সেলিম।

নিহত সেলিমের ভাই শাহিন আলী বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত জেরে ২০২০ সালে এলাকায় একজন খুন হয়েছিল। আমার ভাই সেলিম সেই মামলার আসামি ছিলেন। সেই শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের সাইদুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে।’

হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেলিম একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। তাঁর লাশ মর্গে আছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।