এএসআইয়ের পেটের এক দিক দিয়ে গুলি ঢুকে আরেক দিকে বের হয়ে যায়

গুলিবিদ্ধ এএসআই মোক্তার হোসেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনছবি: সংগৃহীত

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা নৌ থানার ভেতরে গুলিবিদ্ধ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোক্তার হোসেনের (৪৫) অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। গতকাল রোববার গভীর রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। একটি গুলি তাঁর পেটের এক দিক দিয়ে ঢুকে আরেক দিক দিয়ে বের হয়ে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।

আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক রেজওয়ানুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ এএসআই মোক্তার হোসেনের অস্ত্রোপচার করার পর তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। একটি গুলি তাঁর পেটের এক দিক দিয়ে ঢুকে আরেক দিক দিয়ে বের হয়ে গেছে।

গতকাল রোববার বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা নৌ থানার ভেতরে এএসআই মোক্তার হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে ভোলা সদর হাসপাতালে এবং পরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন কুমার সরকার বলেন, মেঘনা নদীতে টহলে যাওয়ার আগে অস্ত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ওই পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন।

আজ দুপুরে নৌ পুলিশের বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ থানার এএসআই মোক্তার হোসেন ডিউটিতে যাওয়ার সময় গতকাল বিকেলে গুলিবিদ্ধ হন। থানার টেবিলে চারটি পিস্তল রাখা ছিল, যেখান থেকে তাঁর একটি পিস্তল পছন্দমতো নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পিস্তলটি নেওয়ার সময় ট্রিগারে হাত পড়ে যায় এবং মিস ফায়ার হয়। আর এতেই তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিটি তাঁর পেটের ডান পাশ থেকে লেগে কোমরের কাছাকাছি বাঁ পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

ভোলার ইলিশা নৌ থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ এএসআই মোক্তার হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে ওই থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। নৌ থানায় মোট আটজন সদস্য আছেন। মোক্তার বিশেষ অভিযানে চট্টগ্রামের কাপ্তাই যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে থানার ওসি ও দুজন কনস্টেবল বরিশালে যান।

আরও পড়ুন