পলাশে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল বৃদ্ধ দম্পতির মাথা গোঁজার ঠাঁই

নরসিংদীর পলাশের চরসিন্দুরে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে বৃদ্ধ কৃষক দম্পতির পুড়ে যাওয়া ঘর
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর পলাশের চরসিন্দুরে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে এক বৃদ্ধ কৃষক দম্পতির দোচালা টিনের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়া ওই বৃদ্ধ কৃষক দম্পতির নাম নূরুল ইসলাম (৬৮) ও সুফিয়া বেগম (৫৫)। পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দোচালা টিনের ঘরটি ছিল দুজনের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই।

এই দম্পতি জানান, গতকাল রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। রাত দেড়টার দিকে কে বা কারা তাঁদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন। প্রচণ্ড তাপে ও কাপড় পোড়ার গন্ধে তাঁরা জেগে ওঠেন। দেখেন, পুড়ো ঘরটি আগুনে পুড়ছে। কোনোরকমে তাঁরা দুজন ঘর থেকে বেরিয়ে মেয়ে নাসরিনকে কল দিয়ে ঘটনা জানান। পরে নাসরিন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভান। ততক্ষণে পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করেন কি না, জানতে চাইলে নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সৎভাই আলমগীর ভূঁইয়ার সঙ্গে আমাদের জমিসংক্রান্ত ঝামেলা চলছে। এ নিয়ে প্রতিবেশী মঞ্জু মিয়ার সঙ্গে দিনের বেলায় আমার কথা–কাটাকাটি হয়েছিল। মঞ্জু মিয়া আলমগীরের হয়ে আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকিও দিয়েছিল। এ ছাড়া আমার আর কোনো শত্রু নেই।’

এ অভিযোগের বিষয়ে আলমগীর ভূঁইয়ার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার ঘটনা পুলিশ দেখবে। আপনাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না।’
পলাশ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাদিকুল বারি বলেন, ‘রাত দুইটার দিকে ৯৯৯–এর মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। দ্রুত আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩০ মিনিটের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা শনাক্ত করা যায়নি।’

জানতে চাইলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।