রাজাপুরে চাঁদা দাবি ও হুমকির অভিযোগে বিএনপি নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

বিএনপি

চাঁদা দাবি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠিয়েছে দলটি। গতকাল বুধবার বিকেলে তাঁকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের সই করা ওই নোটিশ দেওয়া হয়।

ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আরিফুর রহমান তুহিন নামের জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যকে হুমকি ও অন্য এক ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবির বিষয়ে নাসিম আকনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। রাজাপুর উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। তাই কেন তাঁকে উপজেলা বিএনপির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরিফুর রহমান অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নাসিম আকনের বিরুদ্ধে রাজাপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ প্রভাব খাটিয়ে নিজের আয়ত্তে নেওয়াসহ নানা অভিযোগ আছে। সম্প্রতি তাঁর নির্দেশে সাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) একটি খাল খননের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুর রহমান জানান, প্রকল্পটি তাঁর বাড়ির পাশে। চাঁদা চেয়ে ঠিকাদারের ব্যবস্থাপককে হুমকি দিয়েছেন নাসিম আকনের সহযোগী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুন আকনসহ কয়েকজন। ঠিকাদারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়। পরে তিনি রাজাপুর থানার ওসিকে বিষয়টি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক দিন আগে মামুন নিজের সহযোগীদের নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। তাঁরা তাঁর ভাইকে মারার জন্য খোঁজেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরিফুরের বাবাসহ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে রাজাপুর থানায় গিয়েছিলেন বলে জানায় তাঁর পরিবার। খবর পেয়ে সেখানে নাসিম আকনের অনুসারীরা থানা চত্বরে জড়ো হলে তাঁরা অভিযোগ না দিয়েই চলে যান। রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মালেক জানান, আরিফুরের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় অভিযোগ দিতে থানায় আসতে পারছিল না। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় নেওয়া হয়। পরে তাঁরা অভিযোগ না দিয়েই চলে যান।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নাসিম আকন বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে যেকোনো শাস্তি মেনে নেব। আমি জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুরকে চিনি না। আরিফুরের বাড়ির পাশে একটি খাল খননের কাজ স্থানীয় কিছু লোক ভাগাভাগি করতে চান। বিএনপির কিছু সমর্থকদের বিষয়ে এ নিয়ে কথা উঠলে আমি তাঁদের সেখানে যেতে নিষেধ করেছি।’