নিখোঁজের দুদিন পর নদে ভাসছিল ইজিবাইকচালকের বস্তাবন্দী লাশ

লাশপ্রতীকী ছবি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার পুড়াটাল গ্রামের বাড়ি থেকে গত রোববার সকালে ইজিবাইক নিয়ে বের হন ইমন আহমেদ (২০)। এর পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। নিখোঁজের দুদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার সাদুল্যাপুর গ্রামের বুড়ি ভৈরব নদ থেকে তাঁর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত ইমন আহমেদ অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের আবু কালামের ছেলে। বর্তমানে আবু কালাম পরিবার নিয়ে উপজেলার পুড়াটাল গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িতে বসবাস করেন।

ইমনের বাবা আবু কালাম প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার ভোরে বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন ইমন। এর পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ দুপুরে স্থানীয় মানুষদের মাধ্যমে তাঁর বস্তাবন্দী লাশের খবর পান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ সকালে সদর উপজেলার সাদুল্যাপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়ি ভৈরব নদে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দী লাশ ভাসছিল। কয়েকজন বাসিন্দা নদে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বসুন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বসুন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ইজিবাইকচালক ইমন আহমেদ রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে ইমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইজিবাইক ছিনতাই করতে ইমনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে নদে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।