কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ শাসনামলের অনিয়ম-দুর্নীতি জানানোর বিষয়ে আদেশ জারি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসফাইল ছবি

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এই অফিস আদেশ জারি করা হয়। ১৯ মার্চের মধ্যে রেজিস্ট্রার দপ্তরে নির্দিষ্ট বক্সে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ জমা দিতে জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ জানুয়ারি ২০০৯ সাল থেকে ৩১ জুলাই ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যত ধরনের প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণাদিসহ আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে রেজিস্ট্রার দপ্তরে নির্দিষ্ট বক্সে জমা দিতে অনুরোধ করা হলো।

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় সংঘঠিত ঘটনা ও অনিয়মের তথ্যানুসন্ধান করার জন্য কলা অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদাকে প্রধান করে গত বছরের ২৭ অক্টোবর ১১ সদস্যের একটি ‘সত্যানুসন্ধান’ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিকে ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।

গতকাল দুপুরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনিক অনিয়ম-দুর্নীতি, একাডেমিক অনিয়ম-দুর্নীতি এবং বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে মারামারিসহ যে অঘটন ঘটেছে, এসব বিষয় তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্যদের সমন্বয়ে তিনটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। সিন্ডিকেটের প্রথম সভায় এই কমিটিগুলো করা হয়। পরে ‘সত্যানুসন্ধান’ কমিটি গঠন করা হয়। ‘সত্যানুসন্ধান’ কমিটির প্রতিবেদনের পর যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনিয়মের আরও যদি প্রমাণ থাকে, তা জানানোর জন্য চিঠির মাধ্যমে আদেশ জারি করা হয়েছে।