দাম হাঁকা হয়েছিল ২০ লাখ, পরে ৪ লাখে বিক্রি ‘নোয়াখালী কিং’

লক্ষ্মীপুরের ‘নোয়াখালী কিং’ ষাঁড়টি শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

কোরবানির পশুর বাজারে আলোচিত লক্ষ্মীপুরের ‘নোয়াখালী কিং’ ষাঁড়টি বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ টাকায়। মালিক মোহাম্মদ উল্যা এর দাম হেঁকেছিলেন ২০ লাখ টাকা। এত কম দামে ষাঁড়টি বিক্রি করে হতাশ মালিক। বলছেন, আর গরু লালন-পালনের ব্যবসা করবেন না।

মোহাম্মদ উল্যা ‘নোয়াখালী কিং’ নামের ষাঁড়টি প্রথম ৪০ লাখ, পরে ২৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করেছিলেন। কিন্তু পরে বাধ্য হয়ে মাত্র চার লাখ টাকায় সেটি বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে গরু নিয়ে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকার গাবতলীর হাটে যাওয়া এবং সেটার দেখভালে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি মালিকের। তাঁর খামারে থাকা নয়টি ষাঁড়ের মধ্যে ‘নোয়াখালী কিং’ ছিল সবচেয়ে বড়। এর পেছনেই তাঁর লালন–পালন খরচ সবচেয়ে বেশি হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে কথা হলে মোহাম্মদ উল্যা বলেন, তিনি আর গরু লালন-পালনের ব্যবসা করবেন না। নোয়াখালী কিং লালন–পালন করতে তাঁর যে খরচ হয়েছে, আর যে দামে তিনি সেটি বিক্রে করেছেন তাতে তাঁর অন্তত তিন লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এক গরুতে এত বেশি লোকসানে তিনি হতাশ। তাঁর খামারে আর আটটি গরু আছে। এগুলো বিক্রি করে তিনি খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন

মোহাম্মদ উল্যার দাবি, প্রায় ৫৭ মণ ওজনের ছিল ‘নোয়াখালী কিং’। বিক্রির জন্য সর্বশেষ তিনি এর দাম হেঁকেছিলেন ২০ লাখ টাকা। ঈদের দুই দিন আগে দামাদামি করে ১৫ লাখ টাকা বলেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি কেনেননি। ঈদের আগের দিন এর দাম কমে ৫ লাখ টাকা বলেন একজন। এই দামেও বিক্রি হয়নি। পরে রাতে মাত্র চার লাখ টাকায় ষাঁড়টি বিক্রি করেন তিনি।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশীতে মোহাম্মদ উল্যা তাঁর বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্মে লালন-পালন করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি। মূলত দুধ বিক্রির জন্য তিনি গাভি পালন শুরু করেন। এ জন্য ২০১৮ সালে গরুর খামার গড়ে তোলেন তিনি। সাড়ে তিন বছর আগে ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভি কেনেন।

তখন গাভির সঙ্গে থাকা বাছুরটির বয়স ছিল মাত্র চার দিন। তখন ষাঁড়টির ওজন ছিল এক থেকে দেড় মণ। এই ষাঁড় লালন–পালনে প্রতিদিন তাঁর প্রায় দেড় হাজার টাকা করে খরচ হতো বলে মোহাম্মদ উল্যা দাবি করেছিলেন।