ভারতে বসে বসে তারা বলে, আমরা নাকি পালানোর জায়গা পাব না: হাসনাত আবদুল্লাহ
মানুষকে গুজব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজকে শুনলাম গুজব ছড়িয়েছে, আমরা নাকি দেশ থেকে পালিয়ে গেছি। দেশ থেকে পালাইয়া কই আছি? আমার নিজ বাড়ি দেবীদ্বারে থাকাকে কি পালানো বলে? কিন্তু যারা এ গুজব ছড়ায়, তারা পালিয়ে কই আছে? ভারতে বসে বসে তারা আমাদের বলে, আমরা নাকি পালানোর জায়গা পাব না। যারাই পালিয়ে আছে, তারাই আমাদের বলে পালানোর জায়গা পাব না। এটা খুবই হাস্যকর।’
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ এ কথাগুলো বলেন। স্থানীয় ধামতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ওই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় পর্যায়ে একধরনের রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিতে যদি আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়, এটা কিন্তু জাতীয় ইতিবাচক বার্তা দেয় না; বরং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। বিভাজন না চাইলে আমাদের জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। এই বিভাজন দূর করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে জাতির স্বার্থে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভাজনে লাভ কার? এতে লাভ হচ্ছে তাঁদের, যাঁরা এখন ভারতে বসে আছেন, যাঁরা এখন দুবাই বসে আছেন, যাঁরা এখন দুবাই বসে বসে ফুর্তি করছেন, লাভ তাদের।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনা সরকার যেহেতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন নির্ধারিত হবে তাদের বিচার হওয়ার পর। আগে তাদের বিচার নিশ্চিত হতে হবে, বিচার নিশ্চিতের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে কী প্রক্রিয়ায় তাদের সঙ্গে আমাদের সমীকরণ হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক খোরশেদ আলম, দেবীদ্বার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহ্তাদির যারিফ, স্থানীয় বাসিন্দা মুজিবুর রহমান প্রমুখ।