বিদেশে থাকা ব্যক্তিকে মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করার অভিযোগ

ওমানপ্রবাসী ফয়েজ উদ্দিনের ভাই রইছ উদ্দিন সিলেট প্রেসক্লাব ও জেলা প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের জকিগঞ্জে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় প্রায় দুই মাস আগে আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে দীর্ঘদিন ধরে ওমানে থাকা এক ব্যক্তিকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর নাম মো. ফয়েজ উদ্দিন।

এ ঘটনায় ফয়েজ উদ্দিনের ভাই রইছ উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাব ও জেলা প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই অভিযোগপত্রে রইছ উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁরা জকিগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানের চক (খলাদাফনিয়া) গ্রামের আবদুল বারীর ছেলে।

রইছ উদ্দিন সিলেটের বিয়ানীবাজারের মাথিউরা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। জন্ম থেকে তাঁর বাঁ পা অচল। সংবাদ সম্মেলনে রইছ উদ্দিন বলেন, তাঁর ভাই ফয়েজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ওমানে থাকার পরও তাঁকে মামলার অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ মহলের প্ররোচনায় অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে তাঁকেও (রইছ উদ্দিনকে)।

২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার খবর ছড়িয়ে পড়লে জকিগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এ সময় যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪৫০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জকিগঞ্জ থানায় মামলা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জ‌কিগঞ্জ সার্কেল) জা‌কির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়‌টি আদালতে বিচারাধীন। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই তাঁরা যে নির্দোষ, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে রইছ উদ্দিন বলেন, ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে তাঁর ভাই ফয়েজ উদ্দিন বৈধভাবে ওমানে যান। একটি মহল ও পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে মামলার অভিযোগপত্রে তাঁকে ১০৩ নম্বর ও তাঁর ভাই ১৫৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেক নিরপরাধ ব্যক্তির নামও অভিযোগপত্রে রয়েছে।

এ সময় রইছ উদ্দিন, তাঁর ভাই ফয়েজ উদ্দিনসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার এবং তাঁদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা মহলটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান রইছ উদ্দিন।