সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে হবে: প্রধান বিচারপতি

সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের দক্ষিণ সুরমা এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারেছবি: প্রথম আলো

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা পায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার একটি কনভেনশন সেন্টারে সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি ‘সিলেটি নাগরী লিপি’ রক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসৈ‌নিকদের স্মরণ করেন। এ সময় প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি নতুন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনসহ দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানার আহ্বান জানান। সভায় সভাপতির ও স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট সিটির মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা-তাহিরপুর-জামালগঞ্জ) সংসদ সদস্য রন‌জিত চন্দ্র সরকার, জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন, মহানগর পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অসীম পুরকায়স্থ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিকর্মী রুহেনা সুলতানা ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্তর যৌথ সঞ্চালনে শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও বদলে যাওয়া সিলেটের গল্প নিয়ে ছোট্ট একটি প্রতিবেদন পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে সান্ত্বনা দেবীর পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমি ফর মণিপুরি কালচার অ্যান্ড আর্টসের শিল্পীরা। অতিথিদের সম্মানে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী অণিমা রায়, রানা কুমার সিনহা, রাধারমণের গান পরিবেশন করেন শিল্পী লাভলী লস্কর, বাউল শাহ আবদুল করিমের গান পরিবেশন করেন শিল্পী পল্লবী দাস, হাসন রাজার গান পরিবেশন করেন শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস।