আওয়ামী লীগ নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যাকাণ্ড

বাগেরহাট জেলার মানচিত্র

বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নকিব আকবর আলীর (৭২) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মুনিগঞ্জ সেতুর টোল প্লাজাসংলগ্ন সড়কের ওপর থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন পথচারী লোকজন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নকিব আকবর আলী বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি নকিব আকবর আলীকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাজার-পাটগাতি আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তাঁরা। পরে তাঁকে ইজিবাইকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সড়কের পাশে একটি মোটরসাইকেল পড়ে ছিল। মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে নকিব আকবর আলীর জামাতা এনামুল হোসেন বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তাঁর চোখ, কপাল ও মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর অনেক শত্রু রয়েছে, তারাও এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবি জানান তিনি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘এটি হত্যা বা দুর্ঘটনা কোনোটিই স্পষ্ট করে বলতে পারছি না। তদন্ত করে এই মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটনের জন্য পুলিশের ভূমিকা রাখতে হবে। অপরাধী অনেক বেশি ক্ষমতাধর হলেও তাঁকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পার্শা সানজানা বলেন, নকিব আকবর আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে বাগেরহাট সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত কুমার সরদার বলেন, মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।