চাটমোহরে বিয়ের অনুষ্ঠানে মারধর, যুবলীগের দুই নেতা বহিষ্কার

আমির হোসেন ও রবিউল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের জগতলা খ্রিষ্টানপল্লিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও মারধরের অভিযোগে স্থানীয় যুবলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মারধরের শিকার পল্লির বাসিন্দা সুব্রত গমেজ বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগের দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা যুবলীগ। বহিষ্কৃত দুজন হলেন মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ও জগতলা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (৩৪) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য আমির হোসেন (৩৫)।

চাটমোহর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, যুবলীগ কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। বিষয়টি জানার পরই দুজনকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।

মামলার এজাহার ও খ্রিষ্টানপল্লির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার রাতে জগতলা খ্রিষ্টানপল্লির বাসিন্দা সুব্রত গোমেজের ভাইয়ের ছেলের বিয়ে উপলক্ষে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে পরিবারের লোকজন ও স্বজনেরা নাচ-গান করছিলেন। রাত ১১টার দিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সেখানে হাজির হন রবিউল ইসলাম ও আমির হোসেন। তাঁরা পল্লির ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নাচে অংশ নিতে চান। এতে ছেলেমেয়েরা অস্বীকৃতি জানালে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে সুব্রত গোমেজকে চর-থাপ্পড় দিয়ে চলে যান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর রাত দুইটার দিকে তাঁরা আবারও লোকজন নিয়ে এসে পল্লিতে হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে মঙ্গলবার সকালে বিয়ের অতিথিরা এলে গ্রামের রাস্তায় তাঁদের হেনস্তা করেন ওই দুজন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য গির্জায় যাওয়ার পথে ভ্যান থেকে লোকজনকে নামিয়ে পাঁচ-ছয়জনকে মারধর করেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলে ওই দুজন পালিয়ে যান।

মামলার বাদী সুব্রত গোমেজ বলেন, দুই যুবলীগ নেতা তাঁদের পল্লিতে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তাঁরা দুজনই নেশাগ্রস্ত ছিলেন। ওই দিন রাতে পল্লিতে বেশ কিছু চেয়ার ও প্লেট ভাঙচুর করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার পল্লির অন্তত আটজনকে মারধর করেছেন।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে অভিযুক্ত দুজন পলাতক। আশা করছেন খুব শিগগির তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যাবে।