রাত পোহালেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) উপনির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী তাঁদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে আজ বুধবার দুপুরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই প্রার্থী। দুজনই সম্পর্কে আপন মামা-ভাগনে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাই মঙ্গলবার রাত ১০টায় তাঁর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন। আবদুল হাই দাবি করেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী মিজানুর রহমান ও তাঁর ভাই কাজী মতিনের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকদের ওপর ওই হামলা করা হয়।
এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বুধবার দুপুরে মোহনপুর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁর অটোরিকশা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত জেনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত তাঁর ২০ জন সমর্থক আহত হন। তাঁরা ঢাকা ও চাঁদপুরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন তাঁর পুরো পরিবারও শঙ্কিত, আতঙ্কিত এবং প্রাণহানির ভয়ে রয়েছেন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, মোহনপুর ইউপি নির্বাচনের জন্য কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। যাতে বাইর থেকে ভেতরে কোনো বহিরাগত লোক প্রবেশ করতে না পারেন। এমনকি ভেতর থেকে বাইরে কোনো লোক যেতে না পারেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন বলেন, মোহনপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে একজন নৌকা-সমর্থিত, দুজন বিএনপি-সমর্থিত ও ছয়জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী। ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৬১। ৯টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে।