মা যখন ভাত খেতে ডাকছিলেন, তখন পুকুরে ভাসছিল ফাহিয়ার নিথর দেহ

ছোট্ট ফাহিয়ার হাসি মুখের এই ছবি এখন কেবলই স্মৃতিছবি: পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া

ঈদের রেশ তখনো কাটেনি। গ্রামের বাড়িতে চলছে আনন্দ–আড্ডা। এর মধ্যে দুপুরের খাবারের সময় ছোট্ট ফাহিয়াকে ডাকলেন মা। কোথাও পাওয়া গেল না তাকে। ঘণ্টাখানেক আগেই বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। তারপর আর তার দেখা পাওয়া যায়নি। খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে এ ঘর–ও ঘুর খুঁজতে থাকেন মা। হঠাৎ বাড়ির বাইরে থেকে চিৎকার। পাওয়া গেছে ফাহিয়াকে। পুকুরে নিথর ভাসছে তার দেহ।

আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ঠান্ডারপাড়া এলাকায় বসতঘর–সংলগ্ন পুকুরে ডুবে মারা গেছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিয়া আকতার (৯)। সে সোনালী বাজার সাজেদা বেগম বিদ্যাপীঠের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও নুরুল আমিনের মেয়ে।

শিশুটির মামা চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নুরুল ইসলামের কাছ থেকে জানা গেল মর্মান্তিক এ ঘটনার বিবরণ। শোকার্ত নুরুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা ৮–৯ শিশু একসঙ্গে খেলছিল। ফাহিয়াও তাদের সঙ্গে ছিল। প্রচণ্ড গরমের কারণে তারা বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। ঘণ্টা দেড়েক পরে শিশুরা যে যার মতো গোসল সেরে পুকুর থেকে উঠে যায়। এ সময় ফাহিয়া যে পুকুরে ডুবে গেছে, তা কারও খেয়াল ছিল না। পরে মা যখন তাকে ভাত খেতে খুঁজছিলেন, তখন ফাহিয়ার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখেন সবাই।

নুরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফাহিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।