ধামরাইয়ে বৃদ্ধ দম্পতির গলায় ছুরি ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

লুট করার সময় নচনছ করা হয় বসতঘর। ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপশাই উত্তরপাড়ায়
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নে গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা ও প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে দাবি ওই দম্পতির।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল রাতে উপজেলার সোমভাই ইউনিয়নের দেপশাই উত্তরপাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে বাড়ির মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ঘরের ভেতরে ছিলেন মফিজ উদ্দিন (৭৫) ও পিয়ারা বেগম (৬৫) দম্পতি। এ সময় ঘরের দরজা খোলা ছিল। রাত ১১টার দিকে তিনজন ব্যক্তি ফটকের তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। তাঁরা ওই দম্পতির গলায় ধারালো ছুরি ধরে চিৎকার করতে নিষেধ করেন ও ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে বিছানার চাদর দিয়ে দুজনের মুখ ঢেকে দেওয়া হয়। পরে অস্ত্রধারীরা ঘরে থাকা দুটি স্টিলের আলমারি, ওয়ার্ডরোব, কাঠের আলমারি ভেঙে ১ লাখ টাকাসহ প্রায় ১০ ভরি ওজনের বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকার ও  ১টি মুঠোফোন লুট করেন। দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁরা চলে যান।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে গেটে তালা দিয়ে দুজনে ঘরের ভেতরে বসেছিলাম। দরজা তখনও লাগানো হয়নি। ১১টার দিকে তিনজন ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরেন। পরে বিছানার চাদর দিয়ে আমাদের ঢেকে দিয়ে ১ লাখ টাকাসহ প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।’ পিয়ারা বেগম বলেন, ‘বাড়িতে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের বয়স হবে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। হাফপ্যান্ট পরা ছিল। আমি ডাক্তারের কাছে কবে যাব, কোন হাসপাতালে যাব, সব জানে তাঁরা। চিকিৎসার জন্য ঘরে টাকা আছে, সেটাও বলছে।’

খবর পেয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।