ভোলায় ব্যবসায়িক দেনা-পাওয়া নিয়ে হাতাহাতি, পরে দুই ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ

ভোলার মাদ্রাসাবাজারে দুই ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতেছবি: প্রথম আলো

ভোলার সদর উপজেলার মাদ্রাসাবাজারে আলীনগর ও চরসামাইয়া ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঠ ব্যবসায়ী আব্বাস পাটোয়ারীর ব্যবস্থাপক রুহুল আমিনের ছেলে মহিনের সঙ্গে স্কেলমালিক ইভান পিন্টুর কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে চরসামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ফেরদৌসের মধ্যস্থতায় বিষয়টির মীমাংসা হয়। পরে মহিনের পক্ষ হয়ে আলীনগর ইউনিয়নের যুবদল নেতা আবদুস সালামের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। পিন্টুর বাবা জুলু (৪৫), চাচাতো ভাই হিরণ (৪০) ও সুমনকে (৩৮) পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ছাড়া মাদ্রাসাবাজারের ১০ থেকে ১২টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

খবর পেয়ে চরসামাইয়াবাসী পাল্টা হামলা চালায় এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে যুবদল নেতা আবদুস সালামসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁদের তাৎক্ষণিকভাবে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ইউপি সদস্য মো. ফেরদৌস বলেন, তাঁদের গাড়িসহ মালামাল মাপার স্কেলে আব্বাস কাঠ মেপে নেন, কিন্তু ভাড়া দেন না। এভাবে ১ হাজার ২০০ টাকা বাকি ছিল। ওই টাকা চাইতে গেলে ইভান পিন্টুর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও আব্বাসের ব্যবস্থাপক মহিন লোকজন জড়ো করে তাঁদের পরিবারের ওপর হামলা চালান এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন। আলীনগরের আবদুস সালামের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এতে তাঁদের পরিবারের চার–পাঁচ আহত হন। এর মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।

আবদুস সালামের স্ত্রী বলেন, তাঁর স্বামীসহ পাঁচ–ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের বরিশালে নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল রাতে আহত ব্যক্তিদের দেখতে ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে যান সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টদের দোষরদের ইন্ধনে সামান্য ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করবে।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাত মো. হাচনাইন পারভেজ ঘটনার জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হযেছে। তবে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।