আশাশুনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কসহ গ্রেপ্তার 8

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আওয়ালসহ আটজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। থানা-পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার রাতে আশাশুনি উপজেলার গোয়ালাডাঙ্গা ফুলবাড়ি মাঠে সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক চলাকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, রাতে তাঁদের ঘুম থেকে তুলে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আশাশুনি উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক রবিউল আওয়াল, শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক মল্লিক, আশাশুনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শেখ শরিফুল আহছান, শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আল-আমিন হোসেন, বড়দল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম ও বড়দল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. লতিফ।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত পৌনে একটার দিকে গোয়ালডাঙ্গা ফুলবাড়ি মাঠে সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে জামায়াত-বিএনপির ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী গোপন বৈঠক করছিলেন। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বাকিরা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল, লাঠি ও দা জব্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মহিতুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।

তবে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মল্লিকের ছোট ভাই অহিদ মল্লিক বলেন, তার বড় ভাই রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে পুলিশ বাড়ি থেকে তাঁর বড় ভাইকে ধরে নিয়ে গেছে।

আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মশিউল হুদা বলেন, তাঁরা কোথায় সভা করছিলেন না। রাতে তাঁরা বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। তাঁদের বাড়ি থেকে রাতে আটক করে পুলিশ।