চা–বাগানের সংকট নিরসনে আগামীকাল বৈঠক

মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন।
প্রথম আলো ফাইল ছবি

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের ২৩১টি চা-বাগানে চলমান ধর্মঘট নিরসনে চা-শ্রমিক ও বাগানমালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। এ জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যাবেন।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর শ্রীমঙ্গলের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, মহাপরিচালক শ্রীমঙ্গলে এসে প্রথমে বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বসবেন। পরে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে বাগানমালিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এখন যেহেতু ধর্মঘটের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তাই শুরুতেই দুই পক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান কঠিন হবে। ইতিমধ্যেই উভয় পক্ষকে মহাপরিচালকের সঙ্গে বসার জন্য বলা হয়েছে। তাঁরা আসবেন।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু মহাপরিচালক আমাদের সঙ্গে বসে চলমান আন্দোলনের একটি সমাধান করতে চাচ্ছেন, আমরা আলোচনায় রাজি আছি। তবে কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চলবে। আমরা ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সেখানে যাব।’

নিপেন পাল আরও বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকেরা কী কঠিন অবস্থায় আছে, সেটি সরকার ও মালিকপক্ষকে অবশ্যই দেখতে হবে। চা–বাগানের শ্রমিকদের খাদ্যের অভাব, ভালো চিকিৎসার অভাব, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অভাব। ঘরে ঘরে শ্রমিকদের কষ্ট। আমরা এর একটি ভালো সমাধান চাই। ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশে এসে আমরা দাসত্বের জীবন কাটাতে চাই না। আমাদের দাবি নিয়ে সুন্দর সমাধান পেলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব। কিন্তু দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে নামব।’

আরও পড়ুন

এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে চা–বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৪ দিন কর্মবিরতি ও গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা। গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।