কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার
ফাইল ছবি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলার লুৎফর রহমানকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে গতকাল সকাল ১০টার দিকে কারাগারের ভেতর থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি নজরুল ইসলামকে (৩০) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কয়েদিকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক সুরতহালের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, ওই কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে কারাগারের কারারক্ষী রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই সহকারী কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। তাঁর কয়েদি নম্বর ৪৯৭৬/এ। কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানায় করা স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় নজরুল ইসলাম সাজা পেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দী ছিলেন। কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল সকালে কারাগারের ভেতর অচেতন হয়ে পড়েন নজরুল।

জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, নজরুল ইসলাম মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি কারাগারের ভেতরে কীভাবে আত্মহত্যা করেছেন, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জেলার লুৎফর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডেপুটি জেলার শিল্পী আক্তার ও রেজাউল করিম এবং হাসপাতালের নার্স আবুল বাশার।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন শরিফ বলেন, গতকাল দুপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়। এ সময় দেখা যায়, নিহত ব্যক্তির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি কারাগারের ভেতরে কোনোভাবে আত্মহত্যা করেছেন।