পাঁচ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ রাখা হয় খাটের নিচে
মা পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাই পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশুকে বাসায় একা রেখে কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। এই সুযোগে বাসায় ঢুকে এক প্রতিবেশী শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। তবে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যান ওই ধর্ষক।
সাড়ে চার বছর আগে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় ধর্ষণের পর এক শিশুকে হত্যার মামলায় এক আসামির আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এ তথ্য। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে জবানবন্দি দেন রাসেল হোসেন শেখ নামের ওই আসামি। এর আগের দিন চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার রাসেল হোসেন শেখ খুলনার রূপসা থানার চাঁদপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
২০২১ সালের ২৭ জুন নগরের চান্দগাঁও এলাকায় এই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর মামলা করা হলেও সূত্রবিহীন মামলাটির কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি থানা-পুলিশ। পরে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মর্জিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আসামি ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই শিশুর মায়ের মতো আশপাশের বাসার বাসিন্দারও কর্মজীবী হওয়ায় কেউ বাসায় ছিলেন না, এই সুযোগেই মূলত আসামি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পরে তিনি পালিয়ে যান।’
আদালত সূত্র জানায়, আসামি রাসেল শেখ জবানবন্দিতে বলেন, শিশুটি তাঁকে চিনে ফেলায় সে এ ঘটনা কাউকে বলে দিতে পারে—এমন ভয় ছিল তাঁর মধ্যে। এই ভয় থেকে তিনি শিশুটিকে হত্যা করেছেন। শ্বাস রোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।