পবিপ্রবিতে উপাচার্যকে স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে সহ-উপাচার্যের নেতৃত্বে বিক্ষোভ
উপাচার্য কাজী রফিকুল ইসলামকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি আখ্যা দিয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহানসহ বিএনপিপন্থী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের ভাষ্য, পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরপন্থীদের নিয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপনে অংশ নেন।
পবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জামায়াতপন্থী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য। এরপর তিনি শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য রওনা হন। এ সময় ক্যাম্পাসের হেলথ কেয়ার সংলগ্ন স্থানে উপাচার্য ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের উদ্দেশ করে স্লোগান দেন বিএনপিপন্থী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্লোগান বলা হয়, ‘রাজাকারের আস্তানা এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘রাজাকারের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।’
পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সহ-উপাচার্য ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) পবিপ্রবির সভাপতি ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক মামুন অর রশিদের নেতৃত্বে বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপাচার্যকে স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পবিপ্রবির সহ–উপাচার্য হেমায়েত জাহান প্রথম আলোকে বলেন, বিজয় দিবসের মতো মহান দিবসকে উপাচার্য একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে নিয়ে উদ্যাপন করবেন, এটা সহ্য করা যায় না। এর আগেও তাঁকে (উপাচার্যকে) সতর্ক করা হয়েছিল।
মামুন অর রশিদ বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য একাত্তরে স্বাধীনতার যুদ্ধে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন এবং স্বাধীনতাপন্থী তাঁদের জন্য এ বিজয় দিবস। কিন্তু পবিপ্রবির উপাচার্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপনের আয়োজন করেন, যা মোটেই কাম্য নয়। তাই আমরা আলাদাভাবে বিজয় দিবস পালন করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রুখে দিতে প্রতিবাদ করেছি।’
জানতে চাইলে পবিপ্রবির উপাচার্য কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটি জাতীয় কর্মসূচি। আমরা সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি।’