তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মানুষের প্রাণের দাবি: চরমোনাই পীর

জামালপুরে ইসলামী যুব আন্দোলনের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের ফৌজদারি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেশের মানুষের প্রাণের দাবি উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে এই সরকার সুন্দর সুন্দর কথা বলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়েছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচন করবেন, তা জনগণ আর কখনো মেনে নেবে না।’

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকায় এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলনের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘এই সরকার অবৈধ সরকার। জনগণের ভোটের মাধ্যমে এই সরকার নির্বাচিত হয়নি। অবৈধভাবে সংসদে এই সরকার সংবিধান নিজের মতো তৈরি করেছে। আর অবৈধভাবে দেশ চালাচ্ছে। আপনারা (সরকার) এত উন্নয়ন করেছেন, সব সময় বলে যাচ্ছেন, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে আপনাদের (সরকার) সমস্যা কোথায়? ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে দেশের মানুষকে বলেছিলেন, “আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, একটি ভালো নির্বাচন দেব।” তাই এবার আর আপনাদের কথা কেউ বিশ্বাস করে না। এখন সারা দেশের মানুষের প্রাণের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচন করবেন, এই দেশের জনগণ তা আর কখনো মেনে নেবে না।’

চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, এই সরকার বৈধ সরকার নয়। কারণ, এই সরকার দিনের ভোট, রাতে ভরে সরকার গঠন করেছে। তাঁরা প্রকৃতপক্ষে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকারে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘এই সরকারই বিভিন্ন সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে। শতাধিকের ওপরে হরতাল দিয়েছে। নানা রকম আন্দোলন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছে। এখন তারাই কৌশলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দিয়েছে। ভোট ছাড়া এমপিদের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। এখন তারা বলছে, সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে। সংবিধান কিসের জন্য, দেশের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য। সেটা পরিবর্তন করতে সমস্যা কোথায়?’