খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী অনশন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ। বুধবার শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের পাশে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের পাশে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরে বেলা একটার দিকে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম অনশনকারীদের পানি ও জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী সংহতি জানিয়ে অংশ নেন। জিয়া পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-জাহানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি এনামুল হক।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, সহসভাপতি মামুনুর রশীদ ও হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচিতে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার’, ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’, ‘অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দরকার, খালেদা জিয়ার সরকার’ ইত্যাদি লেখা–সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে বাধা দিয়ে সরকার মানবিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। খালেদা জিয়া কখনো স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে আপস করেননি। খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনগণ সরকারকে ছাড়বে না।

বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। শুধু দেশবাসী নয়, বিশ্বসমাজও মনে করে, এ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।

রফিকুল ইসলাম বলেন, মানবিক বিবেচনার অভাবে এই সরকার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দিচ্ছে না। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য যে সদিচ্ছা থাকা দরকার, তা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশনার বলছেন, কে নির্বাচনে এল, কে এল না, সেটি দেখার বিষয় নয়। জনগণ ভোট দিতে পারলেই হলো। তিনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছেন না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।

এনামুল হক বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার অভাবে মারা গেলে বাংলার জমিন বৈশাখী ঝড়ের মতো উত্তপ্ত হয়ে যাবে।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের মূল কাজ হলো গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে রাখা। স্বৈরাচার সরকার আমাদের বাক্‌রুদ্ধ করে রেখেছে। ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শুধু আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আছে। আমরা সুষ্ঠুভাবে কোনো দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারি না।’