শরীয়তপুরে এনসিপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, আটজন আহত
শরীয়তপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে অন্তত আটজন আহত হন। এ ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দুই দলের নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যা ও খুলনায় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক মোতালেব শিকদারের ওপর গুলির প্রতিবাদ এবং দোষী ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এনসিপির নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি শরীয়তপুর শহরের চৌরঙ্গী এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় মিছিলের মধ্যে ছাত্রদলের এক কর্মীর মোটরসাইকেল ঢোকা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তাতে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাসহ অন্তত আটজন আহত হন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।
বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘এনসিপির মিছিলে একটি মোটরসাইকেল ঢুকে পড়া নিয়ে ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ছাত্রদলের আহত পাঁচ নেতাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরের তুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নাঈম ব্যাপারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহেল তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ছাত্রদলের এক কর্মীকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আটকে রাখেন এনসিপির নেতা সবুজ তালুকদার ও তাঁর সমর্থকেরা। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান এনসিপির নেতা–কর্মীরা। এরপর তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ককটেলের আঘাতে আমাদের ছয় নেতা আহত হয়েছেন।’
এদিকে পাল্টা অভিযোগ জেলা নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ তালুকদারের। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ও খুলনায় এনসিপি নেতার ওপর গুলির প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। ছাত্রদলের একটি ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের মিছিলে ঢুকে যায় এবং আমাদের এক কর্মীর ওপর হামলা চালান। পরে আমরা তাঁকে ধরে রাখলে ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহেল ও তাঁর লোকজন এসে আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।’