স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রতীকী জানাজা’

দেশজুড়ে সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী জানাজা পড়েন তাঁরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির দাবি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাজা পড়েন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশ শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সুশাসন চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের দেব না’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা, ইন্টেরিম করে রংতামাশা’ প্রভৃতি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন, ‘বিগত কয়েক দিন দেশে ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি থেকে এহেন কোনো কাজ নেই, যা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে পদত্যাগ করুন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মতো অযোগ্য উপদেষ্টা এ দেশের মানুষের প্রয়োজন নেই।’

ছাত্র ফেডারেশনের সদস্যসচিব ওয়াজেদ শিশির বলেন, ‘নিরাপত্তা আমাদের মৌলিক অধিকার। মানুষ তাঁর মৌলিক অধিকার নিয়ে শঙ্কিত ছিল বলেই চব্বিশের অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু আমার মনে হয় না গত ৫০ বছরে আমাদের এমন নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে চাই, আপনি যে গদিতে বসে আছেন, সেটি আপনার বাবার নয়। আপনি দায়িত্ব পালন করতে না পারলে গদি ছেড়ে দেন।’

কয়েক মাস ধরে দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন বেড়েই চলছে উল্লেখ করে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আজাদ বলেন, ‘এর মূল কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নতজানু নীতি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দয়া করে এই নতজানু নীতি এ দেশে আর চালাবেন না। এই দেশ নতুন করে যেমন বিপ্লবী গতিতে স্বাধীন হয়েছে, তেমনই বিপ্লবী গতিতেই চলবে। চব্বিশের অভ্যুত্থানে হাজারো শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলায় আর কারও ঠিকাদারি আমরা মেনে নিব না।’