বিয়ের নামে প্রতারণা, মীমাংসার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তার জামিন

আদালত
প্রতীকী ছবি

বরিশালে বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে করা একটি মামলায় আপস-মীমাংসার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সমন জারি করার পর মঙ্গলবার ওই কর্মকর্তা বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আপস-মীমাংসার শর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত।

ভুক্তভোগী নারী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী।

মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়ার সুবাদে ওই ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও তিনি পূর্বপরিচিত। বরিশালে আসার পর তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের বিষয়টি তাঁর স্বামী জানতে পারার পর তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বরিশালে এপিবিএন বাংলোতে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নেন। তবে গত বছরের মার্চে ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ ওই বাংলাতে আসেন। তখন তিনি (বাদী) সেখানে যান। বিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দিলে তখন তাঁকে মারধর করা হয়। একই বছর ২২ জুলাই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে নিয়ে ঢাকার ইস্কাটনে পুলিশ অফিসার্স মেসে যান। এরপর ২৫ জুলাই গুলশানের এক বন্ধুর বাসায় তাঁদের বিয়ে নিবন্ধন হয়। পরে তাঁরা বরিশালে ফিরে আসেন।

মামলার আরজিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৮ অক্টোবর বরিশাল থেকে বদলি হয়ে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের কথা ভুলে যেতে বলেন এবং বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন। এরপর ওই বছরের ২০ নভেম্বর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে তিনি আইনি নোটিশ পাঠান। জবাব না পেয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশের পরামর্শে আদালতে মামলা করেন ওই নারী কর্মকর্তা।