কাপ্তাই হ্রদে ১৯ পর্যটক নিয়ে উল্টে গেল নৌযান, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে একটি পর্যটকবাহী নৌযান উল্টে গেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে রাঙামাটির শীলছড়িমুখ রাঙাব্যাশ ক্যাম্পের নিকটবর্তী এলাকায় নৌযানটি উল্টে যায়।
দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, উল্টে যাওয়া নৌযানটি ধরে রয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। এর মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছেন। তাঁরা কান্নাকাটি করে তাঁদের উদ্ধারের আকুতি করছেন। এক শিশুকে নিয়ে উদ্ধারকারী নৌকায় উঠতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রূপায়ণ চাকমা বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানটি সুবলং পর্যটনকেন্দ্র থেকে রাঙামাটি শহরে ফিরছিল। সেখানে থাকা পর্যটকদের বেশির ভাগই ছিলেন ছাদের ওপরে। তাঁদের কারোরই লাইফ জ্যাকেট ছিল না। নৌযানটি রাঙাব্যাশ ক্যাম্পের কাছে এসে উল্টে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চালকের অদক্ষতার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
রূপায়ণ চাকমা আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই আমরা দুটি স্পিডবোট দিয়ে কয়েকজনকে উদ্ধার করেছি। এ ছাড়া ওই পর্যটকদের উদ্ধারে পাশে থাকা কয়েকটি নৌযানও দ্রুত এগিয়ে আসে। বলা যায়, অল্পের জন্য যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।’
দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করতে যাওয়া নৌযানের একটি লঞ্চ ‘এম এল সুমি’। লঞ্চটির মাস্টার মো. কামাল প্রথম আলোকে বলেন, নৌযানটিতে পর্যটকদের দুটি দলের ১৯ জন ছিলেন। এর মধ্যে চারটি শিশু। ওই পর্যটকেরা পাবনা ও চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছেন। দুর্ঘটনার পর সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এম এল সুমি লঞ্চে করেই তাঁদের রাঙামাটি শহরে নিয়ে আসা হয় বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মো. খাইরুল ইসলাম গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যটকবাহী নৌযান ডুবে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে সেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের কোনো টিম নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’