মাদারীপুরে ফোন করে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে জখম

হামলায় আহত যুবককে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়
ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুর পৌর এলাকায় সবুজ মৃধা (৩০) নামের এক যুবককে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পৌর এলাকার বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সবুজ মৃধা সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর এলাকার বাদশা মৃধার ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে জরুরি একটি ফোন পেয়ে তাড়াহুড়া করে বাসা থেকে বের হন সবুজ। রিকশায় শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় যাওয়ার পথে পৌর এলাকার বটতলা এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। সবুজের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।

সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাওলীন আফরোজ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ৮-১০ জন একসঙ্গে ওই যুবককে কুপিয়েছে। তাঁর হাত-পা ৯০ ভাগ কেটে ফেলেছে। তাঁর এক পায়ের গোড়ালি ও হাতের কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন। মাথা, পেট, পিঠসহ একাধিক স্থানে কোপের দাগ রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত সবুজের বাবা বাদশা মৃধা বলেন, হামলার ঘটনায় মাদারীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান হাওলাদার ও তাঁর লোকজন জড়িত। তিনি এ ঘটনার বিচার চান। কী কারণে তাঁর ছেলেকে এভাবে কোপানো হলো। তাঁর ছেলে তাঁদের কী ক্ষতি করেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান আকতার হাওলাদারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সবুজের ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জেরে হামলা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সবুজ রাজনৈতিকভাবে কোনো পদে না থাকলেও পদধারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে চলাফেরা করতেন। সবুজের নামেও সদর থানায় একাধিক মামলা আছে।