ধলেশ্বরীতে ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়নি, ফেরি বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ঘাটে ফেরি থেকে একটি ট্রাকসহ পাঁচটি যান নদীতে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত সেখানে ধলেশ্বরী নদীতে ডুবে যাওয়া যান উদ্ধারে কোনো অভিযান শুরু হয়নি। এর ফলে শনিবার রাত থেকে ওই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। এতে ওই পথের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকে ফেরির চালক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরাও নদীর কোথায় যানগুলো ডুবে গেছে, তা নির্দিষ্ট করে দেখাতে পারেননি। ডুবে যাওয়ার স্থান শনাক্ত ও নদীর গভীরতা পরিমাপ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বক্তাবলী ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি নরসিংপুর ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। ফেরিটি মাঝনদীতে পৌঁছালে একটি ট্রাক হঠাৎ চালু হয়ে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় ফেরির রেলিং ভেঙে ট্রাকসহ পাঁচটি যানবাহন নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী রফিক গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর কয়েকজন সাঁতরে তীরে ওঠেন। তবে স্বাধীন ও মাসুদ রানা নামের দুজন নিখোঁজ ছিলেন। খবর পেয়ে রাতে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। দিবাগত রাত দুইটার দিকে নদী থেকে ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রকিবুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতেই নিহত তিনজনের মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ নিখোঁজ নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফেরিতে ওঠার সময় ট্রাকটি গিয়ারে ছিল অথবা ডায়নামো চার্জ দেওয়ার জন্য চালক ইঞ্জিন সচল রেখেছিলেন। পরে গিয়ারে চাপ পড়লে ট্রাকটি হঠাৎ চালু হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। চালককে আটক করা গেলে প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।